প্রয়াত মানবাধিকার কর্মী স্মরণে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও গ্ৰন্থ প্রকাশ

13th August 2021 8:25 am বর্ধমান
প্রয়াত মানবাধিকার কর্মী স্মরণে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও গ্ৰন্থ প্রকাশ


বিশেষ সংবাদদাতা ( বর্ধমান )  : প্রয়াত মানবাধিকার কর্মী তথা বিশিষ্ট আইনজীবী  পীযূষরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়  এর স্মরনে শ্রদ্ধা ও গ্রন্থ প্রকাশ ।  উপস্থিত ছিলেন ভারতসেবাশ্রম সংঘের মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী ঋতব্রতজানন্দজী মহারাজ,লোক গবেষক ও
ইতিহাসবিদ ডঃ সর্বজিৎ যশ, ইফতিকার আহম্মেদ(পাপ্পু বাবু), বার এ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ, প্রয়াত পীযূষ রঞ্জন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর  বড়দাদা প্রভাত রঞ্জন বন্দ্যেপাধ্যায়, বৌদি সুলতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সহ ধর্মিণী দিপালী প্রিয়ংবদা, পুত্র প্রিয়াংশু বন্দ্যোপাধ্যায়,
হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন এ্যাসোসিয়েশনের কর্মী , বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি এণ্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর কর্মী ,বর্ধমান রেলওয়ে ক্যাটারিং এবং ভেন্ডার কমিশনের কর্মী ,বর্ধমান জেলা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবি ,হিউম্যান রাইটসের খণ্ডঘোষ শাখা,বড়শুল শাখা ও রায়না শাখা র প্রতিনিধি ও শতাধিক পীযূষ রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়ের গুনমুগ্ধ ব‍্যক্তিরা । বর্ধমান রেল ক্যাটারিং পীযূষ রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়ের রেল আন্দোলনের প্রিয় কর্মক্ষেত্র হওয়ায় ওই স্থানেই তার শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান টি শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হয়।এই আনুষ্ঠানে  প্রকাশিত হয় তার জীবনীগ্রন্থ "মৃত্যুঞ্জয়ী পীযূষ রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় বর্ষব্যাপী শোক পালন প্রস্তাব নেওয়া হয়।এবং তার আদর্শ কে মেনে আগামী দিনে মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিটি
কাজে এগিয়ে যাবার অঙ্গিকার করা হয়।অনুষ্ঠান টি পরিচালনা করেন হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন এ্যাসোসিয়েশন,বর্ধমান জেলা কমিটির বর্তমান সভাপতি ইফতিকার আহম্মেদ।অনুষ্ঠানে ইফতিকার আহম্মেদ প্রয়াত সভাপতি পীষুষ রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়ের ধর্মপত্নী আইনজীবি ফাস্টক্লাস জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট দিপালী প্রিয়ংবদাকে হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন এ্যাসেসিয়েশনের আজীবন সভাপতির মূখ্য উপদেষ্টা করেন।সমস্ত অনষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন মধু সূদন চন্দ্র।
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।